আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় পাঁচ দফা দাবিতে অনড় পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা। দাবি উপেক্ষা করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিঃশর্তভাবে বৈঠকে বসতে হবে দু’পক্ষকে। এমন শর্ত-পাল্টা শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত বৈঠক না হওয়ায় বিক্ষোভে টালমাটাল পশ্চিমবঙ্গ। ন্যায় বিচার ও নিরাপদ কর্মবিরতির দাবিতে ৩৪দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এতে স্বাস্থ্য খাতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
বিভিন্ন কর্মসূচির পর অর্নিদিষ্টকালের জন্য স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান ধর্মঘটের ৬৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে আরও ৩৩দিন বসে থাকার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, ভারতের আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে রাজ্য সরকারের বৈঠক নিয়ে টানাপোড়নের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ‘সামাজিকভাবে বয়কটে’র ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের গর্ভনর সি ভি আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা তুলে বৃহস্পতিবার রাতে ভিডিও বার্তা দেন গভর্নর । কী এই সামাজিক বয়কট, গভর্নর তথা রাজ্যপাল সেটিও নিজের ৫ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সিভি আনন্দ বোসের বক্তব্য, সামাজিক বয়কট মানে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে থাকবেন না তিনি।